
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তালের পিঠা। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার অতিপরিচিত সুস্বাদু তালের পিঠা। ভাদ্র মাস এলেই মনে পড়ে তালের কথা। আবার ভোর হতেই তাল তলায় গিয়ে রাতে পাকা তাল নিচে পড়েছে কিনা খুঁজে দেখা।তালের কথা উঠলেই সবারই তালের পিঠা খাওয়ার জন্য মন আকুল হয়ে ওঠে। একেবারে অসাধারণ পিঠা। তালের তৈরি খাবার যেমন সুস্বাদু তেমনি এর প্রস্তুত প্রণালি একটু কষ্টসাধ্য। তবে তালের রস বের করার কঠিন প্রক্রিয়ার জন্য এড়িয়ে যান এই পিঠা। এর খুব সহজ সমাধান আছে। কোনো রকম পানি ছাড়াই আপনি তালের পাল্প বা ক্বাথটা বের করে নিতে পারবেন। আর সময়ও লাগবে খুবই কম। তাহলে জেনে নিন কীভাবে সহজেই পানি ছাড়া এই ক্বাথ বের করবেন।

যা যা লাগবে
তাল, মশারির কাপড় বা চালুনি, সবজি গ্রেটার।
যেভাবে করবেন
প্রথমে তালের উপরের খোসাগুলো ছাড়িয়ে নিন। এবার তালের ভেতরে যে বিচিগুলো আলাদা করুন। একটি সবজি গ্রেটারের ছোট পাশ দিয়ে গ্রেট করতে থাকুন। দেখবেন নিচে খুব সুন্দরভাবে তালের ক্বাথ বেরিয়ে আসছে। এভাবে সবগুলো বিচি থেকে ক্বাথ বের করুন। এবার মশারির কাপড়ের উপর এই ক্বাথ নিয়ে ছেঁকে নিন। ব্যাস, হয়ে গেল পানি ছাড়াই তালের ক্বাথ। এটি আপনি ডিপ ফ্রিজে রেখে সারা বছর সংরক্ষণ করতে পারবেন।

আজ আপনাদের মাঝে হাজির হলাম তালের বড়া পিঠার রেসিপি নিয়ে।
যা যা প্রয়োজনঃ
★জ্বাল করা/কাচা তালের ঘন রস– ১/২ কাপ।
★চালের গুঁড়া– এক কাপ।
★ময়দা-হাফ কাপ।
★চিনি– ১ কাপ।
★গুঁড়া দুধ– ১ কাপ।
★এলাচ গুঁড়া– ১ চা চামচ।
★লবণ– সামান্য।
★কোড়ানো নারকেল-হাফ কাপ।
★তেল– ভাজার জন্যে।

যেভাবে করতে হবেঃ
তেল ছাড়া সব উপকরণ একসাথে মাখিয়ে নরম একটা ডো বানিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিতে হবে। ডো টা এমন হতে হবে যেন হাত দিয়ে নিয়ে গরম তেলে দেয়া যায়।খুব বেশি নরম অথবা খুব বেশি শক্ত হবে না।ডো শক্ত মনে হলে সামান্য তালের রস/তালের ক্বাথ দিয়ে নিতে হবে আর নরম মনে হলে সামান্য ময়দা মিশিয়ে নিতে হবে। এই পিঠা বানাতে কোন কিছু মেপে নেয়ার প্রয়োজন হয় না নিজের আন্দাজ মতো সব নিলেই হয়।মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিতে হবে।এবার আঁচ কমিয়ে হাত দিয়ে অল্প একটু করে তালের মিশ্রন নিয়ে (১চা চামুচ পরিমাণ)একটা একটা করে বড়া তেলে ছেড়ে সোনালি করে ভেজে তলতে হবে তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে-তালের বড়া পিঠা।
